728x90 AdSpace

সপ্নযোগে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক ও উনার আখাসুল খাস আওলাদ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম

Milad shareef final
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার দলীল-আদিল্লাহ শিখিয়ে দিলেন

সংকলনে: আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম, ঢাকা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
لهم البشرى فى الحياة الدنيا وفى الاخرة.
অর্থ: “উনাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ।” (পবিত্র সূরা ইউনুছ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لم يبق من النبوة الا المبشرات قالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وما لمبشرات قال الرؤيا الصالحة يراها الرجل المسلم اوترى له.
অর্থ: “সম্মানিত নুবুওয়াত উনার ধারা বন্ধ হয়েছে। তবে সুসংবাদের ধারা জারি বা অব্যাহত রয়েছে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরজ করলেন। ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই সুসংবাদ কি? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, উত্তম স্বপ্ন। যা কোনো মুসলমান নিজে নিজের সম্পর্কে দেখতে পায়। অথবা উনার সম্পর্কে অপর কাউকে দেখানো হয়।” (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে,
عن حضرة انس بن مالك رضى الله تعالى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الرؤ يا الصالحة جزء من ستة واربعين جزء من النبوة.
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তালায়া আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উত্তম স্বপ্ন সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে,
عن حضرة ابى هريرة رضي الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من رانى في المنام فقد رانى فان الشيطان لا يتمثل فى صورتى.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখবে সে ব্যক্তি সত্যি আমাকেই দেখবে। কেননা, শয়তান কখনোই আমার সম্মানিত সুরত মুবারক ধারণ করতে পারে না।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণিত আছে,
عن حضرة قتادة رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم الرؤ يا الصالحة من الله.
অর্থ: “হযরত কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উত্তম স্বপ্ন মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে হাদিয়াস্বরূপ।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
কাজেই মু’মিন, মু’মিনাগণের স্বপ্ন নিছক কোনো স্বপ্ন নয়। উনাদের স্বপ্নের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। তিনি বলেন- উনাদের স্বপ্ন, কাশ্ফ এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ নিয়ামত, নৈকট্য মুবারক দানের তাৎক্ষণিক সুসংবাদ। ছূফী মুহম্মদ শহীদুল ইসলাম ছাহেব তিনি সেই সুসংবাদপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তিত্ব।
তিনি বর্ণনা করেন :
১৪৩৪ হিজরী। ঢাকা, মিরপুর-১৪। শাহজাহান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে আমি কাজ করি। আমি সেখানে কাজ শেষে প্রতিদিন পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়তাম। পবিত্র মীলাদ শরীফ শেষে উপস্থিত লোকদেরকে দরবার শরীফে আসার জন্য বলতাম। সেখানে একজন লোক ছিলো। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তো। পীর-দরবেশ, ওলীআল্লাহ বিশ্বাস করতো না তবে তাবলীগ জামাতকে সমর্থন করতো। সে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরোধিতা করতো। তবে কখনো কখনো পবিত্র মীলাদ শরীফ মজলিসে বসতো। সে একদিন বললো, আপনারা যে পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়েন, আমি আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবকে বললাম। উনি বললেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বিদয়াত ও শিরক। আমি বললাম, ঐ ইমাম সাহেব কে? উনি বললেন, তিনি আমার দোকানের পাশেই থাকেন। হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ মসজিদের ইমাম, খতীব। আমি বললাম, মসজিদের খতীব সাহেব কত দিন আগে এই কথা আপনাকে বলছে? উনি বললেন, ছয়/সাত দিন আগে। কথাটি শুনে আমার খুব গোস্সা পয়দা হলো। আমি বললাম, যদি কোনো ব্যক্তি শরীয়তসম্মত কোনো বিষয়কে বিদয়াত ও শিরক ফতওয়া দেয়, আর তিন দিনের মধ্যে যদি তওবা না করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। কাজেই, তার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। ওখানে ১০/১২ জন লোক উপস্থিত ছিল। আমাদের মার্কেটের মালিককে সবাই জমিদার বলতো। উনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর একজন লোক ছিল ক্ষমতাশালী, যাকে সবাই কমিশনার বলতো। সে কমিশনার কিনা? আর পূর্বে কমিশনার ছিল কিনা তা আমার জানা নেই। কারণ, আমি সেখানে নতুন ছিলাম। ১০/১২ দিনে আগে সেখানে কাজে যোগদান করেছি। আমার কথা শুনার সাথে সাথে সেও একটু রাগ হলো। রাগ হয়ে ঐ লোক সাথে সাথেই মুফতী সাহেবকে ফোন দিলো।
সে লোক প্রতিদিন আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ঐ মুফতী সাহেবের ছোহবতে থাকতো। তা’লীম নিতো। সে মজলিসে প্রশ্ন করেছি সে মুফতী সাহেবকে যে, রাজারবাগের একজন মুরীদ আছেন। তিনি একটু ভিন্নভাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়েন ও ক্বিয়াম করে থাকেন। তখন মুফতী সাহেব বলেছিলো, আবার ভিন্নভাবে কি? মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফই তো বিদয়াত, শিরক।
ফোন পেয়ে মুফতী সাহেব আসলো। সেখানে জমিদার সাহেব ও কমিশনার সাহেব্ উনারাও ছিলেন। মুফতী সাহেব আমাকে বললো, আপনি একথা বলছেন যে, আমার স্ত্রী তালাক হয়েছে? আমি বললাম, আপনি কি মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফকে বিদয়াত, শিরক বলেছেন? উনি বললেন, হ্যাঁ বলেছি। কতদিন আগে বলেছেন? বললেন, ৬/৭ দিন আগে বলেছি। আমি বললাম, আপনি কি এর মধ্যে তাওবা করেছেন? না, আমি করিনি। এটা তাওবা করার বিষয় নয়। আমি তাওবা করবো কেন? আমি বললাম, তাহলে আপনার স্ত্রী তালাক হয়েছে। যেটা শরীফসম্মত, জায়িয সেটাকে বিদয়াত, শিরক বলবেন, আবার তওবা করবেন না, তাহলে তো আপনার স্ত্রী তালাক হয়েছে। তখন তিনি বললেন, তাহলে তো আপনার সাথে বসতে হয়। আমি বললাম, হ্যাঁ, বসেন। যে কোনো সময় আপনি বসতে পারেন। সে বললে, এখনো তো বসতে পারছি না। আমার নামাযের সময় হয়েছে। তবে আগামীকাল সকাল ১০টায় এ দোকান বসি। তখন ঐ জমিদার সাহেব ও কমিশনার সাহেব উনারা মুফতী সাহেবকে বললেন, উনি আমাদের এ মার্কেটে কাজ করেন। এখানে অন্য কোনো লোক আসবে না। উনি কোনো লোক আনবেন না। আপনিও কোনো লোক আনতে পারবেন না। এখানে আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম এর বাইরে কথাটা যাবে না। আমরাই আগামীকাল বসবো। দেখবো আপনাদের মধ্যে কার দলীল শক্তিশালী। আমরা দু’জনই রাজী হলাম। আমি দরবার শরীফে চলে আসলাম। তবে কাউকে বললাম না। যেহেতু কাউকে নেয়া যাবে না। আমরা আমরাই ব্যাপারটা দেখবো। তখন আমার ভিতরে একটা ভয় ঢুকলো যেহেতু সে মুফতী ছাহেব আমার ইলম-কালাম নেই। আমি কিভাবে এই লোকের সাথে লড়বো? আমি চিন্তা করছিলাম। নিরাপত্তার ডিউটি দিলাম। ডিউটি শেষে আমি তাহাজ্জুদ নামায পড়ে যিকির-ফিকির করে দুরূদ শরীফ পড়ে আমি সরাসরি হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট দোয়া করলাম।
ইয়া মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আপনি তো সব জায়গায় হাজির-নাজির! আমি এমন কাজ করে আসলাম। আমি তো কারো কাছে বলতে পারছি না। আমি যে ওর সাথে লড়বো, কিভাবে লড়বো? আমার তো ইলম-কালাম নেই। আমি তো বিশ্বাস করি, আপনি সব জায়গায় হাজির-নাজির। আপনি সব দেখেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছেও দোয়া করলাম। ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার দয়া-ইহসানে যে কোনো একটা ফায়সালা করুন।
দোয়া করে আমি শুয়ে রয়েছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখলাম। উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন- তোমার মন খারাপ কেন?
আমি উনাকে বললাম! ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই জাহিল লোকটি ফতওয়া দিলো, আপনার ছানা-ছিফত করা নাকি বিদয়াত। আমার মন খারাপ এই কারণে। আমার ওই মুফতী সাহেবের সাথে আমার বাহাস রয়েছে। পরক্ষণে আমার খেয়াল হলো- যেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি থাকেন, সেখানে তো মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উপস্থিত থাকেন। এরূপ চিন্তা-ফিকির করার সাথে সাথে মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে জাহির হলেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ঐ জাহিল মৌলভীটা বলেছে, আপনার ছানা-ছিফত করা, তা’যীম-তাকরীম করা বিদয়াত, শিরক। এইজন্য আমার মন খারাপ। আর সে এ ব্যাপারে আমার সাথে বাহাস করতে চাইছে। সে আগামীকাল আমার সাথে বসবে। সে ঐরূপ বলার কারণে আমার সহ্য হয়নি। আমি রাগের মাথায় বলেছি যে, তার স্ত্রীর তালাক হয়ে গেছে। সে ব্যক্তি আগামীকাল আমার সাথে বসতে চায়। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, তুমি উত্তম কথাটাই বলেছো।
যখন আমি বললাম, আপনার উপর সালাত-সালাম পাঠ করলে, আপনার সম্মান-প্রদর্শন করলে সেটা নাকি বিদয়াত, শিরক। এই ফতওয়া দেয়ার কারণে আমার রাগ আসে। রাগের সাথে তাকে বললাম, তার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি উত্তম কথাটাই বলেছো। তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আগামীকাল সকাল ১০টার সময় সে আমার সাথে বসতে চাইছে। সে তো মুফতী সাহেব। আর আমার তো কোনো ইলম-কালাম নেই। আমি কিভাবে তার সাথে বসবো?
তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যখন ওর সাথে বসবে তখন ওকে একটা আয়াত শরীফ বলবে,
هاتوا برهنكم ان كنتم صادقين
অর্থ: “যদি সত্যবাদী হও তাহলে দলীল পেশ করো।”
মুসলমানের দলীল কয়টা? মুসলমানের দলীল পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে তা’যীম-তাকরীম করা যাবে না, ছলাত-সালাম পাঠ করা যাবে না, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ বিদয়াত, শিরক তার দলীল কি?
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের কোথায় আছে? সেটা দেখাও। ও তোমাকে কোনো কিছুই দেখাতে পারবে না।
তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি আমার কাছে দলীল চায়? তখন তিনি বললেন- তোমার কি দলীল জানা নেই? আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার তো কোনো দলীল জানা নেই।
তিনি বললেন, তুমি সর্বপ্রথম এই দলীল পেশ করবা।
وما ارسلناك الا رحمة العا لمين
“আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত আলমের জন্য নিয়ামতস্বরূপ, রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন।”
সেই নিয়ামতের বর্ণনা করা, সম্মান করা, ছানা-ছিফত করা, খিদমত করা সেটা তিনি ফরয করে দিয়েছেন। পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৭, ৫৮ নং আয়াত শরীফের দ্বারা।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون.
তখন এই আয়াত শরীফ বলবা। বলবা- মহান আল্লাহ পাক তিনি এটা ফরয করে দিয়েছেন। উনার তা’যীম-তাকরীম, ছানা-ছিফত করবে। সেটা কিভাবে? আল্লাহ পাক তিনি সেটা নিজেই বর্ণনা করে দিয়েছেন। আমি নিজেই আমার হাবীব উনার ছানা-ছিফত করি।
ان الله و ملائكته يصلون على النبى يا ايها الذين امنوا صلوا عليه و سلموا تسليما.
“আমি বললাম, ইয়া রসূলিল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার কাছে যদি হাদীছ শরীফ, ইজমা-ক্বিয়াসের দলীল চায়?
তখন তিনি আমাকে হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বর্ণিত হাদীছ শরীফ দু’খানার কথা বললেন।
আমি বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার তো আরবী জানা নেই। আমি আরবী জানি না। আমি মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার থেকে যা শুনি সেটা আমার জানা আছে। আমার আরবী জানা নেই। আরবী পড়তে পারি না। কখনো কুরআন শরীফ পড়িনি।
তিনি বললেন, তুমি আমার দিকে তাকাও। আমি উনার দিকে তাকালাম। হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশে ছিলেন। তখন হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দিক দিয়ে একটা ফয়েজ আমার দিকে আসলো। সরাসরি উনার কাছ থেকে আমার দিকে একটা ফয়েজ আসলো। সেই ফয়েযের কারণে আমার সমস্ত কিছু মুখস্ত হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
আমি ঘুমের থেকে উঠে সেগুলো চর্চা করতে লাগলাম। হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে একই রকম দেখা যাচ্ছিলো।
পরে আমি সেই দোকানে কাজে গেলাম। আমি কাজ করছি। সবাই আসলো। মার্কেটের মালিক জমিদার সাহেব আসলেন। কমিশনার আসলেন। আমরা ঐ দোকানে বসলাম।
আমি উনাদের সবাইকে লক্ষ্য করে বললাম, দেখেন আপনারা তো দুনিয়াবী পড়ালেখা করেছেন। কেউ এমএ পাস, কেউ বিএ পাস। এ কথা সত্য। কিন্তু কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফের ইলম, বুঝ শুধু উনার ভিতরে আর আমার ভিতরে আছে। উনি আর আমি কথা বলবো। আপনারা কোনো কথা বলবেন না। আপনারা শুনবেন, আমাদের আলোচনার মধ্যে কার দলীল বেশি। যার দলীল বেশি দেখবেন সেই অনুযায়ী ফায়সালা করবেন। যার দলীল গ্রহণযোগ্য হবে সে অনুযায়ী রায় দিবেন। তখন উনারা বললেন, ঠিক আছে। আমি ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি যে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফকে বিদয়াত, শিরক বললেন, তার দলীল কোথায়? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলে দিয়েছেন,
هاتوا برهنكم ان كنتم صادقين
অর্থ: “তোমরা সত্যবাদী হলে দলীল পেশ করো।”
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোথায় আছে? সে দলীলটা আপনি দেন। তখন সে অনেক্ষণ চুপ করে বসে থাকলো। তারপর মাথা উঠায়ে বললো- আপনার কাছেই বা কোথায় দলীল আছে? এটা যে জায়িয তার দলীল কোথায়। আমি বললাম, হ্যাঁ, এটা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াসে আছে। তখন সে বললো, তাহলে বলেন- তখন আমি আরবীসহ আলোচনা করলাম। আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যা করলাম, তখন হাদীছ শরীফ ব্যাখ্যা করলাম। এক পর্যায়ে তিনি উঠে এ কথা বলতে বলতে চলে যেতে লাগলো যে, আপনারা রাজারবাগীরা শুধু দলীল নিয়েই মরেন। তখন কমিশনার সাহেব তার জামা টেনে ধরে বললেন, আপনি কোথায় যান? এখানে দলীল দিয়ে যেতে হবে। আপনি নিজেই বসতে চাইলেন। আমরা বসলাম। এখন দলীল না দিয়েই চলে যাচ্ছেন। পাইছেনটা কি? বেয়াদবের মতো চলে যাচ্ছেন। এটা কোন ভদ্রতা হলো। আপনি নিজেকে অনেক বড় মনে করেন। সেই মুফতী সাহেব কোনো উত্তরই দিলেন না।
কমিশনার সাহেব আমাকে পরে বললেন, হুযূর! সত্যি কি এ লোকের স্ত্রী তালাক হয়েছে। আমি বললাম, হ্যাঁ, তার স্ত্রী তালাক হয়েছে। কারণ কেউ যদি যদি সম্মানিত শরীয়ত সম্মত কোনো বিষয়কে বিদয়াত, শিরক কিংবা নাজায়িয ফতওয়া দেয় তাহলে সে ঈমানদার থাকে না। সে যেহেতু শরীয়তসম্মত বিষয়কে শিরক, বিদয়াত বলেছে, সেহেতু তার স্ত্রী তালাক হয়েছে। এখন যদি মেলামেশা করে সন্তান হলে অবৈধ হবে। পরে কমিশনার সাহেব তাকে আরো অনেক খারাপ ভাষায় কথা বলে, ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। বলেছেন- এ ব্যাটা! তুই আর জীবনে কোনো দিন মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ উনার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিবি না।
হায় আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিক সমজ দিয়ে সাহায্য করুন ও এই রকম ভন্ড প্রতারক, এমাম, খতীব, বেয়াদব দের মুখোশ উন্মোচন করার তৌফিক দানুন। …আমিন আমিন
নবীনতর পোস্ট
Previous
This is the last post.
  • Blogger Comments
  • Facebook Comments

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Item Reviewed: সপ্নযোগে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক ও উনার আখাসুল খাস আওলাদ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম Rating: 5 Reviewed By: Unknown
Scroll to Top